খুঁজুন
শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১৯ বৈশাখ, ১৪৩২

লাইটার জাহাজ সংকট কাটাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার, জামাল উদ্দিন
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৬:৩০ অপরাহ্ণ
লাইটার জাহাজ সংকট কাটাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার উদ্যোগ

সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অত্যাবশকীয় পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর কারণে ও আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে খাদ্য পণ্য আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে ৪০টিরও অধিক মাদার ভেসেল অপেক্ষমাণ রয়েছে। তবে এসব মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস ও পরিবহনের ক্ষেত্রে লাইটার জাহাজের সংকট দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় লাইটার জাহাজের সংকট কাটাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে নৌ পরিবহন অধিদপ্তর।

নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সোমবার এ বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মাকসুদ আলমের সভাপতিত্বে পণ্যের আমাদানিকারকগণ, লাইটার জাহাজ মালিকগণ, পণ্যের এজেন্ট, বিআইডব্লিউটিএ, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এবং বাংলাদেশ নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি অংশীজনেরা এতে উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিরা বলেন, কিছু আমদানিকারক লাইটার জাহাজগুলোকে ভাসমান গুদাম বা ফ্লোটিং ওয়ার হাউজ হিসেবে ব্যবহার করছে। এমনকি ২০ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত পণ্য খালাসের স্থানে আটকে রাখা হয়েছে। লাইটার জাহাজের অপ্রতুলতার কারণে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে মাদার ভেসেলকে ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে এবং বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় হচ্ছে।

নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, কিছু আমদানিকারক কর্তৃক প্রায় ৩৫০টির মতো লাইটার জাহাজ পণ্য বোঝাইরত অবস্থায় নৌপথের বিভিন্ন স্থানে আটকে রাখা হয়েছে। সকল আমদানিকারককে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস করতে হবে এবং কোনো ক্রমেই লাইটার জাহাজকে ভাসমান গুদাম বা ফ্লোটিং ওয়ার হাউজ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

এ বিষয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নৌ পরিবহন অধিদপ্তর এবং বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক নৌপথের বিভিন্ন পয়েন্টে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।

 

টিএনজে/এএইচ

করিডোর দেয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান

টিএনজে প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ
   
করিডোর দেয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের রাখাইনের জন্য মানবিক করিডোর দেয়ার বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, করিডোর দেয়া না দেয়ার সিদ্ধান্তা আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) ঢাকার নয়াপল্টনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারের একটা অংশ সংস্কার ও নির্বাচন মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায় বলে বন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তারেক রহমান বলেন, দেশে সংস্কার নিয়ে শোরগোল চলছে। কিন্তু সেই কর্মযজ্ঞে শ্রমজীবী মানুষের কন্ঠস্বর কোথায়? রাষ্ট্র ও সরকারের কাছে জনগনের কথা পৌঁছাতে নির্বাচিত সংসদ ও সরকার প্রয়োজন। কারণ প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিতরা জনগণের কথা শুনতে বাধ্য। অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ নির্বাচন ও সংস্কারকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে রাজনৈতিক ঐক্যে বিভেদ উসকে দিতে চায়। এ সময় সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি অনির্দিষ্টকালের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখা যৌক্তিক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বৈরাচার যাতে মাথাচাড়া দিতে না উঠতে পারে, সেজন্য জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা জরুরি। জনগণের ওপর একক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাইলে ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ক্ষমতার সুপ্তবাসনা যেন স্বৈরাচারের পথে ঠেলে না দেয়।

তিনি আরও বলেন, ১৮ কোটি মানুষের দেশে প্রায় আট কোটি মানুষই শ্রমজীবী। এই শ্রমিকরাই উন্নয়ন ও অর্থনীতির প্রাণ। কর্মজীবীদের অবহেলা বা অধিকার বঞ্চিত রেখে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।

 

টিএনজে/এএইচ

বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ বিনির্মানে আকজ কাজ করছে, মে দিবসের আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, মুস্তাফিজুর রহমান
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ
   
বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ বিনির্মানে আকজ কাজ করছে, মে দিবসের আলোচনা

ব্যাতিক্রমধর্মী সামাজিক সংগঠন আকজ এর আয়োজনে ১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক মহান মে দিবসের তাৎপর্য ও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভা ঢাকার শিশু কল্যাণ পরিষদের সেমিনারে হলে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. লে. কর্ণেল নাজমুল আহাসান কলিমউল্লাহ।

অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব সাব্বির আহমেদ রনি।

প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ডক্টর জামিল আহমেদ।

সাংবাদিক ও কলামিষ্ট রিন্টু আনোয়ার সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আকজ এর প্রধান সমন্বয়কারী মোস্তাফিজুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. লে. কর্ণেল নাজমুল আহাসান কলিমউল্লাহ জানান, সমাজে শ্রেণি বৈষম্য দূর করতে এই দিবসের গুরুত্ব অপরিহার্য। আকজ এই আয়োজন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

এসময় সভাপতির বক্তব্যে জনাব রিন্টু আনোয়ার বলেন, শ্রমিকদের ঘাম শুকানোর আগেই মজুরী পরিশোধ করতে হবে। সেই লক্ষেই আমাদের কাজ করে যেতে হবে।

এসময় আকজ এর প্রধান সমন্বয়কারী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আকজ ব্যতিক্রমধর্মী আয়জনের সাথে সব সময় আছে। বুদ্ধিভিত্তিক সমাজ বিনির মানে আকজ কাজ করে যাবে সবাইকে নিয়ে।

টিএনজে/এএইচ

মরহুুম আব্দুল হাই মিলনের দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা ও দোয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, মুস্তাফিজুর রহমান
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ
   
মরহুুম আব্দুল হাই মিলনের দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা ও দোয়া

দাগনভূঁইয়ার কৃতি সন্তান মরহুম আবদুল মিলনের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৩০শে এপ্রিল রোজ বুধবার সন্ধে সাত ঘটিকায় স্নরণ সভা ফকিরাপুলস্থ হোটেল আল সালামের দ্বিতীয় তলা বিশিষ্ট সংগঠক ও ব্যাংকার মঞ্জুরুল আলম টিপুর সভাপতিত্বে দাগনভূঞা ব্লাড ডোনেশন এর সাধারণ সম্পাদক কামালউদ্দিনের সঞ্চলনা স্মরণ সভা স্মৃতিচারন করেন কলামিষ্ট রিন্টু আনোয়ার, দাগনভূঞা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম, এ, রব,বিকন গ্রুপের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন, সংযোগ- নোফেল প্রধান সমন্বয়কারী নাসির উদ্দিন মাসুক, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা নুরুল আলম, এডভোকেট একরামুল হক, সংগঠক তাজুল ইসলাম লিটন, মানবাধিকার কর্মী মনিরুল ইসলাম মনির, জামাল উদ্দিন মেম্বার , নিজাম উদ্দিন, সাংবাদিক একরামূল হক, কবি কুতুব উদ্দিন প্রমুখ, মরহুম আব্দুল হাই মিলন আমৃত্যু মানুষ ও মানবতার কল্যাণে কাজ করে গেছেন।

তিনি দানবীর ও হাতেম তাই হিসেবে পরিচিত ছিলেন, স্মৃতিচারণ শেষ কুতুব উদ্দিন এর পরিচালনা ধর্মীয় ‘ববাব কমিটির মধ্যে দিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।১ লা মে মরহুম আবদুল হাই মিলনের দশম মৃত্যু বার্ষিকী” ২০১৫ সালের ১মে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। নিজ এলাকায় হাতেমতায়ী হিসেবে পরিচিত এই জনহিতৈষী ব্যক্তি ছাত্রজীবন থেকে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এর সাথে জড়িত । ছাত্রজীবনে নিজ এলাকায় তিনি অসংখ্যা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন।

এছাড়া অসুস্থ্য ব্যক্তি, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মন্দিরসহ সব ধরনের ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে তিনি দু’হাতে দান করে গেছেন।

মানবপ্রেমী এই মহান ব্যক্তি ফেনীর দাগনভূঞার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

 

টিএনজে/এএইচ