খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ, ১৪৩২

অসুস্থ আওয়ামী লীগ নেতাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যা চেষ্টা

বরগুনা জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫, ৮:৪৮ অপরাহ্ণ
অসুস্থ আওয়ামী লীগ নেতাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যা চেষ্টা

বরগুনায় অসুস্থ আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে৷ বরগুনা সদর উপজেলার ৫নং আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমানের বাড়িতে এঘটনা ঘটে৷ এসময় দীর্ঘদিন বিছানায় অসুস্থ থাকা মাহবুবুর রহমানকে তুলে নিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ১৯ মার্চ রাতে মাকসুদা বেগম আখি (৪৫), তার ছেলে আমির হোসেন রঞ্জু (২৫), খুশি বেগম (৫০), তার ভাই হারুন উর রশিদ (৬০) ও তার ছেলে মো: মনির আকন (৩৫) এবং নজরুল ইসলাম (৫০) দলবল নিয়ে হামলা করে৷ এসময় ঘরের ভেতরে আলমারি ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ জমির দলিল, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়৷ এ ঘটনার পরে ২১ ও ২২ মার্চ পুনরায় তারা দলবল নিয়ে ৩য় বার হামলা করে৷ হামলার সময় অসুস্থ আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী নাসরিন বেগম ও মেয়ে ইশরাত জাহান লাবনীকে মারধর ও লাবনীর ছেলে মো: ইয়ামিন (৪) কে কিডনাপের চেষ্টা করে৷ পরে ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগ করে।

ঘটনার সময় ভুক্তভোগীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এ বিষয়ে মাহবুবুর রহমানের বউ ভুক্তভোগী নাসরিন বেগম বলেন, “আমাদের সঙ্গে হারুন অর রশিদ এবং মাকসুদা বেগম আখির সঙ্গে পুর্বশত্রুতা ছিল। আমার স্বামী আওয়ামী লীগ করার অপরাধে ২০১০ সালে আমাদের ওপর তারা হামলা করেছিলো। তখন উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানিও করেছিলো। সেই থেকে হারুন অর রশিদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলছে৷ ৫ আগস্টের পরে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং লুটপাট করে হারুন অর রশিদের ছেলে মনির আকন৷ তখন আমার স্বামী ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধিন ছিলো। পরে এখন তিনি সুস্থতার পথে এজন্য মনিরের আপন ফুফু আখি বেগম, খুশি বেগম ও হারুন এদের যোগসুত্রে আমার স্বামীকে হত্যার চেষ্টা করছে৷ আমরা স্বামী আওয়ামী করেছে এটাই আমাদের অপরাধ ছিলো৷ সেজন্য এখন বাড়িঘরে হামলা করে সব লুটপাট করে নিয়ে গেছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় পনু আকনের স্ত্রী দিলারা বলেন, “পর পর ৩ দিন মাকসুদা বেগম আখি ও খুশি বেগমের নেতৃত্বে মাহবুবুর রহমানের বাড়িতে হামলা করে৷ ঘটনার সময় তাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে৷ এসময় ডাক চিৎকার শুনে আমরা এসে দেখি বাড়িঘরে হামলা করে ভাংচুর করছে, আলমারির ভেতর সব কাগজপত্র লুট করে। পরে আখি বেগমের ছেলে রঞ্জু আমাদের কেউ স্বাক্ষী দিলে তাকে আওয়ামী লীগ বলে পুলিশে দেবার ভয় দেখান।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সোলায়মান খান বলেন, “মাকসুদা বেগম আঁখি ও খুশি বেগমের নেতৃত্বে হামলা করে। পরে বাড়ির ভেতরে মহিলা ও শিশুদের ডাক চিৎকার শুনতে পেলে, আমরা বাড়ির ভেতরে যাই। তখন দেখি আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমানকে মারধোর করে ঘর থেকে বের করে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তারা পরপর তিনদিন একই স্টাইলে হামলা করে।

এদিকে এঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী পরিবার আতংকে এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এছাড়া মাহবুবুর রহমানের জীবন নিয়েও শংস্কায় রয়েছে

টিএনজে/এএইচ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে চাঁদা চেয়ে চিঠি, না পেয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
   
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে চাঁদা চেয়ে চিঠি, না পেয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা

১০লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে দোকানে একটি চিঠি পাঠান অজ্ঞাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে দাবিকৃত ওই চাঁদা না পেয়ে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী আবুল বাশার পাটোয়ারীর প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তালা খুলে দিলেও চাঁদাদাবীকৃতদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ব্যবসায়ী আবুল বাশার পাটোয়ারী ও তাঁর পরিবার।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন আবুল বাশার পাটোয়ারী।

সংবাদ সম্মেলনে আবুল বাশার পাটোয়ারী বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে তিনি আমিশাড়া বাজারে আসবাবপত্রের (ফার্নিচার) ও হার্ডওয়ার সামগ্রির ব্যবসা করে আসছেন। গত রমজান মাস শুরুর চার-পাঁচদিন আগে দোকানের সার্টার খুলে দেখেন ভেতরে একটি চিঠি। খুলে দেখেন নাম-পরিচয় না দেওয়া অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাঁর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। চিঠি পাওয়ার পর তিনি বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বিষয়টি অবহিত করে রাখেন।

সর্বশেষ গত ১৬ এপ্রিল রাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাঁর দোকানের তিনটি সার্টারে তিনটি তালা মেরে দেয়। পরদিন সকালে তিনি দোকানে গিয়ে তালা মারা দেখে এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখেন আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. কামাল তাঁর সহযোগীদের নিয়ে দোকানে তালা দিয়েছেন। পরে পুলিশ কামালকে থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তালা দেওয়ার ঘটনা স্বীকার করেন। কিন্তু পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এরপর থেকে কামাল হোসেন তাঁকে নানা হুমকি-ধমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। বর্তমানে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে মো. কামাল বলেন, তিনি দোকানে তালা দিয়েছেন এটা যেহেতু তারা সিসিটিভির ফুটেজে দেখেছে এ বিষয়ে তিনি কিছু বলবেন না। তবে আবুল বাশার পাটোয়ারীদের সঙ্গে পারিবরিক বিষয় নিয়ে পূর্বের বিরোধ রয়েছে। তাদের দায়ের করা একটি মামলায় ২০০৯ সালে তিনি কারাগারে ছিলেন। ওই বিরোধের জেরে ক্ষোভ থেকে তিনি দোকানে তালা দিয়েছেন বলেও জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আগামিতে তিনি আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন। তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদ আলম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দোকানে তালা দেওয়ার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে আবুল বাশারের পূর্ব বিরোধ ও মামলা মকদ্দমা রয়েছে। আবুল বাশার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু মামলার অভিযোগের বর্ণনায় একটি অংশ নিয়ে তাঁর আপত্তি থাকায় সেটি আর মামলা হিসেবে রুজু করা হয়নি। পরে ওই ব্যক্তিকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

 

টিএনজে/এএইচ

কাশ্মীরের ঘটনায় বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব এর নিন্দা ও প্রতিবাদ

টিএনজে প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:০২ অপরাহ্ণ
   
কাশ্মীরের ঘটনায় বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব এর নিন্দা ও প্রতিবাদ

মানবতা ভিত্তিক রাজনৈতিক দল বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আল্লামা ইমাম হায়াত বলেন, আমরা বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব কাশ্মীরে সাধারণ মানুষের উপর এহেন হিংস্র পাশবিক ঘৃন্য সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আল্লামা ইমাম হায়াত বলেন, নিরীহ নির্দোষ পর্যটক খুন করা ধর্ম বা শুভ রাজনীতি হতে পারেনা বরং অধর্ম ও স্বৈরদস্যুতার ঘৃন্য রাজনীতি। তিনি বলেন, সব রাজনীতির লক্ষ্য হতে হবে সব মানুষের জীবনের সুরক্ষা ও কল্যাণ সাধন।

তিনি আরো বলেন, হত্যার রাজনীতি বর্জন করে সব ধর্মের সব মত পথের সব মানুষের জীবনের নিরাপত্তা-স্বাধীনতা- অধিকার ভিত্তিক মানবতার রাজনীতির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য দুনিয়ার সব মানবিক মানুষের প্রতি আকুল আবেদন জানান।

 

টিএনজে/এএইচ

হাদীয়ে জামান হযরত সেহাবউদ্দীন খালেদ (রহঃ) এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সাব্বির আহমেদ, বিশেষ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:২৫ অপরাহ্ণ
   
হাদীয়ে জামান হযরত সেহাবউদ্দীন খালেদ (রহঃ) এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আহলা দরবার শরীফের আধ্যাত্মিক সাধক, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অতন্দ্র প্রহরী, সুন্নীয়তের স্বপ্নদ্রষ্টা, সুন্নীয়তকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানে দূর্জেয় মুজাহিদ, হাদীয়ে জামান, মুনাজেরে আহলে সুন্নাত হযরতুল আল্লামা শাহসূফী সৈয়দ আবু জাফর মোহাম্মদ সেহাবউদ্দীন খালেদ (রহঃ)’র স্মরণে হাদীয়ে জামান হযরত সেহাবউদ্দীন খালেদ (রহঃ) এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ মেডিকেলে এসোসিয়েশন অডিটোরিয়ামে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন আহলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন শাহ্সূফী সৈয়দ আব্রার ইবনে সেহাব আল-ক্বাদেরী, আল-চিশতী (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী)।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সম্মানিত চেয়ারম্যান শায়খুল হাদীস আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মাঈনুদ্দীন আশরাফী, কো-চেয়ারম্যান আল্লামা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অছিউর রহমান আল ক্বাদেরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর আব্দুল্লাহ আল মারুফ, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি কাজী আব্দুল আলীম রিজভী।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা গোলাম মোস্তফা মোহাম্মদ শায়েস্তা খাঁন আজহারী আল্ মাইজভান্ডারী, আল্লামা ইব্রাহীম আল কাদেরী, ঢাকাস্থ মোহাম্মদপুর কাদেরীয়া তৈয়্যবিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন আল-আজহারী, আল্লামা মুফতী মাহমুদুল হাসান, মুফতী মুহাম্মদ মাসউদ রিজভী, কাজী জসিম উদ্দীন নূরী, মাওলানা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন চিশতী।

এছাড়া আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর দেশবরেণ্য উলামায়ে কেরাম, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, ইলেকট্রিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।

 

টিএনজে/এএইচ