খুঁজুন
শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১৯ বৈশাখ, ১৪৩২

ইসরায়েল ধ্বংসে ইরানের কাছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার চেয়েছিল হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৫২ অপরাহ্ণ
ইসরায়েল ধ্বংসে ইরানের কাছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার চেয়েছিল হামাস

ইরান নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ। তিনি একটি নথি প্রকাশ করে বলেছেন, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রতি ইরানের যে সমর্থন এটি সেই যোগাযোগের একটি প্রতিলিপি। খবর ইরান ইন্টারন্যাশনাল ও জেরুজালেম পোস্টের। 

ওই নথিতে দাবি করা হয়েছে, হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার ও মুহাম্মদ দেইফের সঙ্গে ইরানের সরাসরি যোগাযোগ ছিল। এতে আরও দাবি করা হয়েছে, এই দুই নেতা ইসরায়েলকে ধ্বংস করার জন্য ইরানের কুদস ফোর্স কমান্ডারের কাছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছিলেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালানোর আগে বা এর থেকেও কিছু সময় আগে ইরানের কাছে এই অর্থ দাবি করেছিল হামাসের নেতারা। তবে এরইমধ্যে হামাসের এসব নেতাকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

রোববার কাতজ বলেছেন, ইরান হলো শয়তানের প্রধান এবং সকল প্রকার অস্বীকার সত্ত্বেও, আজকাল তারা গাজা থেকে শুরু করে লেবানন, সিরিয়া এবং সামেরিয়া পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রেই সন্ত্রাসবাদকে অর্থায়ন এবং প্রচার করে। এবং তাদের আকাঙ্ক্ষা হলো ইসরায়েলকে ধ্বংস করা।

তিনি আরও বলেছেন, ইরান যেন পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক না হতে পারে- তার জন্য ইসরায়েল সবকিছু করবে এবং তার প্রক্সিদের ওপর হামলা অব্যাহত থাকবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাসের যোদ্ধারা। সেইসঙ্গে ইসরায়েলের ভূখণ্ড ভেদ করে দেশটিতে তাণ্ডব চালায়। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছে অন্তত এক হাজার ২০০ জন। সেইসঙ্গে দুই শতাধিক ব্যক্তিকে হামাস জিম্মি করে।

সেইদিনেই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ চলছে। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। সেইসঙ্গে আহত হয়েছে লক্ষাধিক।

 

 

 

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে চাঁদা চেয়ে চিঠি, না পেয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
   
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে চাঁদা চেয়ে চিঠি, না পেয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা

১০লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে দোকানে একটি চিঠি পাঠান অজ্ঞাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে দাবিকৃত ওই চাঁদা না পেয়ে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী আবুল বাশার পাটোয়ারীর প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তালা খুলে দিলেও চাঁদাদাবীকৃতদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ব্যবসায়ী আবুল বাশার পাটোয়ারী ও তাঁর পরিবার।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন আবুল বাশার পাটোয়ারী।

সংবাদ সম্মেলনে আবুল বাশার পাটোয়ারী বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে তিনি আমিশাড়া বাজারে আসবাবপত্রের (ফার্নিচার) ও হার্ডওয়ার সামগ্রির ব্যবসা করে আসছেন। গত রমজান মাস শুরুর চার-পাঁচদিন আগে দোকানের সার্টার খুলে দেখেন ভেতরে একটি চিঠি। খুলে দেখেন নাম-পরিচয় না দেওয়া অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাঁর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। চিঠি পাওয়ার পর তিনি বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বিষয়টি অবহিত করে রাখেন।

সর্বশেষ গত ১৬ এপ্রিল রাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাঁর দোকানের তিনটি সার্টারে তিনটি তালা মেরে দেয়। পরদিন সকালে তিনি দোকানে গিয়ে তালা মারা দেখে এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখেন আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. কামাল তাঁর সহযোগীদের নিয়ে দোকানে তালা দিয়েছেন। পরে পুলিশ কামালকে থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তালা দেওয়ার ঘটনা স্বীকার করেন। কিন্তু পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এরপর থেকে কামাল হোসেন তাঁকে নানা হুমকি-ধমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। বর্তমানে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে মো. কামাল বলেন, তিনি দোকানে তালা দিয়েছেন এটা যেহেতু তারা সিসিটিভির ফুটেজে দেখেছে এ বিষয়ে তিনি কিছু বলবেন না। তবে আবুল বাশার পাটোয়ারীদের সঙ্গে পারিবরিক বিষয় নিয়ে পূর্বের বিরোধ রয়েছে। তাদের দায়ের করা একটি মামলায় ২০০৯ সালে তিনি কারাগারে ছিলেন। ওই বিরোধের জেরে ক্ষোভ থেকে তিনি দোকানে তালা দিয়েছেন বলেও জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আগামিতে তিনি আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন। তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদ আলম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দোকানে তালা দেওয়ার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে আবুল বাশারের পূর্ব বিরোধ ও মামলা মকদ্দমা রয়েছে। আবুল বাশার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু মামলার অভিযোগের বর্ণনায় একটি অংশ নিয়ে তাঁর আপত্তি থাকায় সেটি আর মামলা হিসেবে রুজু করা হয়নি। পরে ওই ব্যক্তিকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

 

টিএনজে/এএইচ

কাশ্মীরের ঘটনায় বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব এর নিন্দা ও প্রতিবাদ

টিএনজে প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:০২ অপরাহ্ণ
   
কাশ্মীরের ঘটনায় বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব এর নিন্দা ও প্রতিবাদ

মানবতা ভিত্তিক রাজনৈতিক দল বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আল্লামা ইমাম হায়াত বলেন, আমরা বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব কাশ্মীরে সাধারণ মানুষের উপর এহেন হিংস্র পাশবিক ঘৃন্য সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আল্লামা ইমাম হায়াত বলেন, নিরীহ নির্দোষ পর্যটক খুন করা ধর্ম বা শুভ রাজনীতি হতে পারেনা বরং অধর্ম ও স্বৈরদস্যুতার ঘৃন্য রাজনীতি। তিনি বলেন, সব রাজনীতির লক্ষ্য হতে হবে সব মানুষের জীবনের সুরক্ষা ও কল্যাণ সাধন।

তিনি আরো বলেন, হত্যার রাজনীতি বর্জন করে সব ধর্মের সব মত পথের সব মানুষের জীবনের নিরাপত্তা-স্বাধীনতা- অধিকার ভিত্তিক মানবতার রাজনীতির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য দুনিয়ার সব মানবিক মানুষের প্রতি আকুল আবেদন জানান।

 

টিএনজে/এএইচ

হাদীয়ে জামান হযরত সেহাবউদ্দীন খালেদ (রহঃ) এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সাব্বির আহমেদ, বিশেষ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:২৫ অপরাহ্ণ
   
হাদীয়ে জামান হযরত সেহাবউদ্দীন খালেদ (রহঃ) এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আহলা দরবার শরীফের আধ্যাত্মিক সাধক, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অতন্দ্র প্রহরী, সুন্নীয়তের স্বপ্নদ্রষ্টা, সুন্নীয়তকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানে দূর্জেয় মুজাহিদ, হাদীয়ে জামান, মুনাজেরে আহলে সুন্নাত হযরতুল আল্লামা শাহসূফী সৈয়দ আবু জাফর মোহাম্মদ সেহাবউদ্দীন খালেদ (রহঃ)’র স্মরণে হাদীয়ে জামান হযরত সেহাবউদ্দীন খালেদ (রহঃ) এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ মেডিকেলে এসোসিয়েশন অডিটোরিয়ামে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন আহলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন শাহ্সূফী সৈয়দ আব্রার ইবনে সেহাব আল-ক্বাদেরী, আল-চিশতী (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী)।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সম্মানিত চেয়ারম্যান শায়খুল হাদীস আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মাঈনুদ্দীন আশরাফী, কো-চেয়ারম্যান আল্লামা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অছিউর রহমান আল ক্বাদেরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর আব্দুল্লাহ আল মারুফ, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি কাজী আব্দুল আলীম রিজভী।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা গোলাম মোস্তফা মোহাম্মদ শায়েস্তা খাঁন আজহারী আল্ মাইজভান্ডারী, আল্লামা ইব্রাহীম আল কাদেরী, ঢাকাস্থ মোহাম্মদপুর কাদেরীয়া তৈয়্যবিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন আল-আজহারী, আল্লামা মুফতী মাহমুদুল হাসান, মুফতী মুহাম্মদ মাসউদ রিজভী, কাজী জসিম উদ্দীন নূরী, মাওলানা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন চিশতী।

এছাড়া আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর দেশবরেণ্য উলামায়ে কেরাম, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, ইলেকট্রিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।

 

টিএনজে/এএইচ