খুঁজুন
রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

স্মৃতি ও তানজিলার নেতৃত্বে ইডেন কলেজ সাংবাদিক সমিতির আত্মপ্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫, ৪:০৭ অপরাহ্ণ
স্মৃতি ও তানজিলার নেতৃত্বে ইডেন কলেজ সাংবাদিক সমিতির আত্মপ্রকাশ

ইডেন মহিলা কলেজে সাংবাদিকতা চর্চায় নতুন মাত্রা যোগ করতে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘ইডেন কলেজ সাংবাদিক সমিতি’। বুধবার (২৮ মে) বিকেলে কলেজের অভ্যর্থনা কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৯ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

নতুন কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস ও চ্যানেল ২১-এর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি স্মৃতি আক্তার এবং সদস্য সচিব হয়েছেন দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ ও দৈনিক মানবতার কণ্ঠ-এর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি তানজিলা আক্তার মাসুমা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কমিটি ঘোষণা করেন সমিতির প্রধান উপদেষ্টা ও দৈনিক মানবতার কণ্ঠ-এর সম্পাদক ও প্রকাশক আফরোজা তালুকদার।

তিনি বলেন, “ইডেন কলেজের সাংবাদিক শিক্ষার্থীদের এক ছাতার নিচে এনে তাদের দক্ষতা ও নেতৃত্বের বিকাশ ঘটানোই এই সমিতির লক্ষ্য। এই প্ল্যাটফর্ম একদিন জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দেবে, এমন প্রত্যাশা রাখি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির উপদেষ্টা ও  স্যাটেলাইট টেলিভিশন স্টার নিউজ -র রিপোর্টার ও প্রেজেন্টার মুক্তা আক্তার এবং দৈনিক সংবাদ সারাবেলা-র সহ-সম্পাদক ও সমিতির আরেক উপদেষ্টা ফাহমিদা আক্তার।

মুক্তা আক্তার বলেন, “এই উদ্যোগ তরুণ সংবাদকর্মীদের জন্য বড় এক অনুপ্রেরণা। এই সমিতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু সাংবাদিকতা শিখবে না, বরং নেতৃত্ব, সাহস এবং ন্যায়নিষ্ঠার চর্চাও করবে।

ফাহমিদা আক্তার বলেন, “সাংবাদিকতা শুধু সংবাদ সংগ্রহ নয় এটি দায়িত্ব, বিশ্বাসযোগ্যতা ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। আমি আশা করি, এই সমিতি ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীদের সেই আদর্শে উদ্বুদ্ধ করবে এবং সৎ ও সাহসী সাংবাদিক গড়ে তুলবে।

ঘোষিত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

যুগ্ম আহ্বায়ক:

•মোছা. তানজিলা আক্তার (নন্দিত টিভি)
•জাকিয়া আক্তার (ফাল্গুনী টিভি)

সদস্য:

•তামান্না আক্তার (প্রতিদিনের কাগজ)
•তানজিলা আক্তার তনিমা (ক্যাম্পাস টাইম)
•ফাতেমা আক্তার (আমার বার্তা)
•মোর্কারমা খাতুন (দৈনিক ভোরের বাংলা নিউজ)
•মুহসিনা সাদিকা তানহা (বাংলা এফএম)

নবনির্বাচিত আহ্বায়ক স্মৃতি আক্তার বলেন, “এই দায়িত্ব শুধু সম্মানের নয়, এটি আমাদের কাজের দায়বদ্ধতা বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা সবাই মিলে ইডেন কলেজে দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক সাংবাদিকতা চর্চা করতে চাই।

সদস্য সচিব তানজিলা আক্তার মাসুমা বলেন, “এই কমিটি কেবল একটি কাঠামো নয়, এটি সাংবাদিকতা নিয়ে ভাবা, শেখা ও সঠিকভাবে তা চর্চার একটি সুযোগ। আমরা কর্মশালা, প্রশিক্ষণ ও নিউজ লেখার প্রতিযোগিতা আয়োজন করব।”

অনুষ্ঠান শেষে নতুন কমিটির পক্ষ থেকে একটি স্বল্পমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে— ক্যাম্পাস রিপোর্টিংয়ের উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ, ‘ফ্যাক্ট-চেকিং ও সংবাদ যাচাই’ বিষয়ক সেমিনার, এবং কলেজের বিভিন্ন ইভেন্টে সরাসরি কভারেজ চালু করা।

 

টিএনজে/এএইচ

শেখ হাসিনা যাকে ঢাকায় ‘হত্যা করলেন’, তিনি ময়মনসিংহে জীবিত!

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ৫:২০ অপরাহ্ণ
   
শেখ হাসিনা যাকে ঢাকায় ‘হত্যা করলেন’, তিনি ময়মনসিংহে জীবিত!

মামলায় ‘নিহত’ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার পর কোনো মানুষ যখন নিজের পায়ে থানায় হাজির হয়ে বলেন, ‘আমি মরিনি, বেঁচে আছি’—তখন তা শুধু ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নয়, বরং দেশের বিচারব্যবস্থা ও তদন্তপ্রক্রিয়ার বড় ব্যর্থতা তুলে ধরে। ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার ব্যবসায়ী মো. সোলাইমান হোসেন সেলিমকে জীবিত থাকা অবস্থায় ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ বানিয়ে মামলা ঠুকে দিয়েছেন তাঁরই সহোদর বড় ভাই গোলাম মোস্তফা ওরফে মস্তু। আর এই মামলার আসামির তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করেছেন জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। মামলায় তাঁর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ৪১ জনের নাম যুক্ত করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পেছনে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে সংঘাত এবং তা থেকে উদ্ভূত ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের নিদর্শন পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তার চেয়ে বড় বিষয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে পদ্ধতিগত দুর্বলতা প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে।

এক ভাইয়ের ফাঁদে আরেক ভাই!

২০২৪ সালের ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় দাখিল করা ওই মামলায় বলা হয়, রাজধানীর কাজলা এলাকায় ৩ আগস্ট সেলিমকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অথচ সেলিম তখন দিব্যি জীবিত ছিলেন এবং ময়মনসিংহের ধামর বেলতলি বাজারে নিজের মুদিদোকান সামলাচ্ছিলেন। ভাইয়ের করা মামলায় তাঁকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ’ দেখানো হয়।

অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, এই মামলার নেপথ্য কারণ পারিবারিক জমিসংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধ। প্রায় ২০ বছর আগে তাঁদের বাবা আব্দুল হাকিম মারা গেলে জমি নিয়ে বিরোধ বাধে চার ভাইয়ের মধ্যে। সেলিমের কোনো ছেলেসন্তান না থাকায়, তাঁর সহায়-সম্পত্তির ওপর চোখ পড়ে অপর তিন ভাইয়ের। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং ভয়ংকর চরিত্র হলো মস্তু, যিনি স্থানীয়ভাবে ‘ডাকাত’ হিসেবে পরিচিত।

জীবিত থেকেও ‘মরি নাই’ প্রমাণে বেগ

এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে মামলায় তাঁরা মৃত দেখিয়েছে, সুযোগ পেলেই মেরে ফেলত। বিষয়টি বুঝতে পেরে একটু সতর্ক হয়েছি। কিন্তু পুলিশ কেন কীভাবে একটি ভুয়া মামলা নিল?’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি হয়রানির শিকার হচ্ছি। পাঁচবার যাত্রাবাড়ী থানা এবং ডিবি অফিসে গিয়েছি। আমি যে মরি নাই, এটা প্রমাণ করতেই বেগ পোহাতে হচ্ছে।

সেলিমের স্ত্রী হাজেরা খাতুন বলছেন, সেলিমকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এই নাটক সাজিয়েছে তারই তিন ভাই। এর আগেও তারা সেলিমের ওপর হামলা চালিয়েছে। তখন এলাকাবাসীর সহায়তায় প্রাণে বাঁচে।

এই ঘটনায় সেলিম ২০২২ সালে হেলাল উদ্দিন, আবুল হোসেনসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলাও করেছিলেন।

ধামর বেলতলি বাজারে আড়াই শতক জমি কিনে দোকান ও বসতবাড়ি গড়ে সেখানে বসবাস করছেন সেলিম। তাঁর অভিযোগ, বড় ভাই মস্তু ১৫ বছর ধরে এলাকায় অনুপস্থিত থেকেও অপর দুই ভাইকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টা করছেন।

পুলিশ কীভাবে এই ভুয়া মামলা নিল

যেখানে একজন জীবিত মানুষকে ‘মৃত’ দেখিয়ে হত্যা মামলা হয়, সেখানে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো—পুলিশের ভূমিকা কী ছিল? কেন তারা যাচাই না করেই মামলা নিল?

এই প্রশ্নের জবাবে ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মস্তু একজন স্বীকৃত ডাকাত। তার নামে দুটি হত্যা, একটি চাঁদাবাজি ও একটি মারামারির মামলা আছে। প্রায় ১৫ বছর ধরে সে এলাকায় আসে না। সম্ভবত সম্পত্তি দখল ও সরকারের কাছে সহানুভূতি আদায়ের জন্যই এমন ভুয়া মামলা করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিয়েছি। এখন তারা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারী জোনের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাদী গোলাম মোস্তফা পলাতক, তার মোবাইল বন্ধ, কোথায় আছে, সেটাও জানা যাচ্ছে না। আদালতের নির্দেশে ভাইদের মুখোমুখি করে ডিএনএ পরীক্ষাও করা হবে।

তবে এই ধরনের ভিত্তিহীন মামলা কীভাবে নেওয়া হলো, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। এসআই আমিনুল বলেন, ‘এই মামলার তৃতীয় তদন্ত কর্মকর্তা আমি। এখন পর্যন্ত একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত তদন্ত শেষ করতে।

বাদী মল হোসেয়‘শুনেকরা হলো, থাকে, তাহলে সেটা তার কাজ।

তবে এই পরিবারে দীর্ঘদিনের বিরোধের সাক্ষী স্থানীয় রুহুল আমিন বলছেন, ‘সেলিম নিরীহ মানুষ, দোকান করে খায়। ছেলেসন্তান না থাকায় ভাইয়েরা জমি আগেভাগেই পেতে চায়। কিন্তু একজন জীবিত মানুষকে ‘মৃত’ দেখিয়ে মামলা করা—এটা তো চরম পর্যায়ের ষড়যন্ত্র। যারা করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলা নথিভুক্ত করার আগে পুলিশের আরও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন। কারণ, এতে মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। অনেকে বিষয়টিকে হাস্যকর হিসেবে নিয়েছে। আমরা চাই, ভুয়া মামলায় যেন কেউ হয়রানির শিকার না হয়।

টিএনজে/এএইচ

সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপসহীন সেনাবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫, ১:৩৭ পূর্বাহ্ণ
   
সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপসহীন সেনাবাহিনী

দেশের স্বার্থ সবার আগে উল্লেখ করে সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আপসহীন বলে জানিয়েছেন সেনা সদরের অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা।

তিনি বলেন, ‘সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সেনাবাহিনী আপহীন। করিডর একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। দেশের স্বার্থ সেনাবাহিনীর কাছে সবার আগে। তাই দেশের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ধরনের আপস নয়।’

সোমবার (২৬ মে) দুপুরে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সেনা সদর এক ব্রিফিংয়ে করিডরের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, করিডর একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত পরিস্থিতি যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে সংবেদনশীল। সেনাবাহিনী এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক আছে।

কেএনএফের জন্য চট্টগ্রামে ৩০ হাজার ইউনিফর্ম তৈরির প্রসঙ্গে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম বলেন, ‘কেএনএফ, কুকি জনগোষ্ঠীর সংগঠন পুরো সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা প্রায় ১২ হাজার, তাহলে ৩০ হাজার ইউনিফর্ম কেন বানানো হচ্ছিল? বা এর কতটুকু সত্যতা এবং নেপথ্যে কি আছে- সবগুলো সেনাবাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে।

ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে নাগরিকদের ‘পুশ ইন’ প্রসঙ্গে ব্রিগেডিয়ার নাজিম বলেন, এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটি গ্রহণযোগ্য না। বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সীমান্তে তারা এটি যথেষ্টভাবে মোকাবিলা করছে। তবে, যদি কোনো কারণে প্রয়োজন হয় বা সরকারের আদেশ দিলে এই বিষয়ে সেনাবাহিনীও কাজ করবে—তবে বিষয়টি কোনোভাবেই কাম্য নয়।

এর আগে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে বিগত ৪০ দিনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন অপারেশনস পরিদপ্তরের কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।

এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মব ভায়লেন্স ও সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের সঙ্গে তুলনা করলে বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে স্থিতিশীল বা কোথাও উন্নতিও আছে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখভালের দায়িত্ব কেবল সেনাবাহিনীর একার নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্য সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতির আরও উন্নতি করতে হবে।
টিএনজে/এএইচ

ঢাকাস্থ বরগুনা সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হলেন এনটিভির মিরন আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫, ১:২৪ পূর্বাহ্ণ
   
ঢাকাস্থ বরগুনা সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হলেন এনটিভির মিরন আহমেদ

ঢাকাস্থ বরগুনা জেলা সাংবাদিক সমিতির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে এ উপলক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিশ্ব মিডিয়ার সম্পাদক ও প্রকাশক সিনিয়ার সাংবাদিক আব্দুল খালেক লাভলুকে সভাপতি ও সময় টিভির জেষ্ঠ বার্তাকক্ষ সম্পাদক তৌফিক মাহমুদকে সাধারন সম্পাদক করে ১৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা চ্যানেল আই’র জয়েন্ট অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর তারিকুল ইসলাম মাসুম। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আরো দায়িত্ব পালন করেন দৈনিক ইত্তেফাকের শিফট ইনচার্জ মো. আব্দুল বাছেদ আকন এবং দৈনিক সমাজ বাংলাদেশের প্রকাশক ও সম্পাদক সোহাগ ইউনুস।

কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন সিনিয়র সহ সভাপতি হয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের মো. সলিম গাজী, সহ সভাপতি দৈনিক জনতার আবু জাফর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেশ টেলিভিশনের এম এ আজিম ও এটিএন নিউজের গাজী শাহীন, কোষাধ্যক্ষ পদে আল আমিন রাজু (বার্তা২৪.কম), সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো: মিরন আহমেদ (এনটিভি), দফতর সম্পাদক এম সোলায়মান (দৈনি রূপালী বাংলাদেশ), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সোহাগ বিশ্বাস (এটিএন নিউজ), প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক আহমেদ ফেরদাউস খান ( প্রতিদিনের বাংলাদেশ), ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাহিদ প্রিন্স (এনটিভি), জনকল্যাণ সম্পাদক নাসির আহমেদ (বিটিভি), নারী বিষয়ক সম্পাদক রুকাইয়া নাজরিন তাহরা (দৈনিক বাংলাদেশের আলো) নির্বাচিত হন।

সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ফাহিম মোনায়েম (বৈখাখী টিভি), এম. সুজন আকন (এখন টিভি), শাহাদাত হোসেন বাবুল ( ফটো সাংবাদিক), তাওহীদুল ইসলাম (নিউজ২৪ টেলিভিশন) এবং কবিরুল ইসলাম (কালবেলা )

সংগঠনের কাজকে আরো বেগবান করতে সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন কমিটির সদস্যরা। বরগুনার আর্থসামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক উন্নয়নে এই সংগঠন অনন্য ভূমিকা রাখবে বলে অঙ্গীকার করেন সবাই।

 

টিএনজে/এএইচ