খুঁজুন
শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১৯ বৈশাখ, ১৪৩২

পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না: প্রধান উপদেষ্টা

টিএনজে প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:১৮ অপরাহ্ণ
পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না: প্রধান উপদেষ্টা

পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না বলে ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৫’ এর উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা। গত বছরের মতো এবারও সম্মেলনের মূল ভেন্যু রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় তিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের নিজ কার্যালয়ের শাপলা হলে উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এবার ডিসি সম্মেলন শেষ হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার)।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডিসিদের মুক্ত আলোচনা হবে আজ। সন্ধ্যায় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সভা করবেন তিনি। রাতে হবে নৈশভোজ।

এবারের সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে মোট কার্য-অধিবেশন হবে ৩০টি। এছাড়া বিশেষ অধিবেশন হবে চারটি। বিশেষ অধিবেশনগুলোর মধ্যে রয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটি মুক্ত আলোচনা এবং বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গেও একটি সভা হবে। তবে, রেওয়াজ থাকলেও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ডিসিদের সৌজন্য সাক্ষাতের কোনো পর্ব রাখা হয়নি এবার।

এবারের ডিসি সম্মেলন সামনে রেখে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে এক হাজার ২৪৫টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, যার মধ্যে ৩৫৪টি প্রস্তাব কার্যপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন। এ ছাড়াও জনসেবা, জনদুর্ভোগ, রাস্তাঘাট নির্মাণ, আইনকানুন ও বিধিমালা সংশোধন এবং জনস্বার্থের বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এই সম্মেলনে।

শেখ আব্দুর রশীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবারের ডিসি সম্মেলন ঘিরে সবচেয়ে বেশি প্রস্তাব সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সংশ্লিষ্ট; মোট ২৮টি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধান প্রধান আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদারকরণ; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম; স্থানীয় পর্যায়ে কর্ম-সৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন; সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্ন্যান্স; শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ; স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ; পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ রোধ; ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়ের বিষয়গুলো।

ডিসি সম্মেলনে এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন অংশগ্রহণকারী ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনাররা। কার্য-অধিবেশনগুলো ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হলেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে কার্য-অধিবেশন এবং সমাপনী অধিবেশন সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নবনির্মিত ভবনে হবে।

এসব অধিবেশনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব সভাপতিত্ব করবেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টারা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য দিক-নির্দেশনা দেবেন।

আজ প্রথমদিন মোট ছয়টি কার্য অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও আওতাধীন সংস্থাগুলো, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সাথে আলোচনা হবে। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেবেন ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনাররা।

ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয়দিন সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কার্য-অধিবেশনের বাইরে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনার সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এ উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জানা যায়, এদিন খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা হবে।

এছাড়াও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় দুর্নীতি দমন কমিশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা হবে।

ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা হবে।

এছাড়াও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত বিষয়াদি, মন্ত্রিপরিষদ সংক্রান্ত বিষয়াদি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। পরবর্তীতে ফিডব্যাক অধিবেশন ও সম্মেলনের মূল্যায়ন এবং সমাপনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে এবারই প্রথম রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কোনো সৌজন্য সাক্ষাৎ পর্ব থাকছে না জেলা প্রশাসকদের।  এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওনার (রাষ্ট্রপতি) সিডিউলের সঙ্গে মেলেনি।

এছাড়া, এবারের ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি শুরু হবে একটি ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে, যেখানে এই আন্দোলনটা কীভাবে হয়েছিল, কীভাবে আন্দোলনের ফল লাভ হলো, সেই বিবরণ সেখানে থাকবে। বিপ্লবোত্তর আইনশৃঙ্খলার বিষয়টিও উদ্বোধনী দিনেই তোলা হবে বলে জানিয়েছেন শেখ আব্দুর রশিদ।

সরকারের নীতিনির্ধারক এবং জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের মধ্যে সামনা-সামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য সাধারণত প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে এ সম্মেলন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

 

টিএনজে/এএইচ

 

করিডোর দেয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান

টিএনজে প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ
   
করিডোর দেয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের রাখাইনের জন্য মানবিক করিডোর দেয়ার বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, করিডোর দেয়া না দেয়ার সিদ্ধান্তা আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) ঢাকার নয়াপল্টনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারের একটা অংশ সংস্কার ও নির্বাচন মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায় বলে বন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তারেক রহমান বলেন, দেশে সংস্কার নিয়ে শোরগোল চলছে। কিন্তু সেই কর্মযজ্ঞে শ্রমজীবী মানুষের কন্ঠস্বর কোথায়? রাষ্ট্র ও সরকারের কাছে জনগনের কথা পৌঁছাতে নির্বাচিত সংসদ ও সরকার প্রয়োজন। কারণ প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিতরা জনগণের কথা শুনতে বাধ্য। অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ নির্বাচন ও সংস্কারকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে রাজনৈতিক ঐক্যে বিভেদ উসকে দিতে চায়। এ সময় সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি অনির্দিষ্টকালের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখা যৌক্তিক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বৈরাচার যাতে মাথাচাড়া দিতে না উঠতে পারে, সেজন্য জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা জরুরি। জনগণের ওপর একক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাইলে ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ক্ষমতার সুপ্তবাসনা যেন স্বৈরাচারের পথে ঠেলে না দেয়।

তিনি আরও বলেন, ১৮ কোটি মানুষের দেশে প্রায় আট কোটি মানুষই শ্রমজীবী। এই শ্রমিকরাই উন্নয়ন ও অর্থনীতির প্রাণ। কর্মজীবীদের অবহেলা বা অধিকার বঞ্চিত রেখে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।

 

টিএনজে/এএইচ

বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ বিনির্মানে আকজ কাজ করছে, মে দিবসের আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, মুস্তাফিজুর রহমান
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ
   
বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ বিনির্মানে আকজ কাজ করছে, মে দিবসের আলোচনা

ব্যাতিক্রমধর্মী সামাজিক সংগঠন আকজ এর আয়োজনে ১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক মহান মে দিবসের তাৎপর্য ও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভা ঢাকার শিশু কল্যাণ পরিষদের সেমিনারে হলে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. লে. কর্ণেল নাজমুল আহাসান কলিমউল্লাহ।

অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব সাব্বির আহমেদ রনি।

প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ডক্টর জামিল আহমেদ।

সাংবাদিক ও কলামিষ্ট রিন্টু আনোয়ার সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আকজ এর প্রধান সমন্বয়কারী মোস্তাফিজুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. লে. কর্ণেল নাজমুল আহাসান কলিমউল্লাহ জানান, সমাজে শ্রেণি বৈষম্য দূর করতে এই দিবসের গুরুত্ব অপরিহার্য। আকজ এই আয়োজন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

এসময় সভাপতির বক্তব্যে জনাব রিন্টু আনোয়ার বলেন, শ্রমিকদের ঘাম শুকানোর আগেই মজুরী পরিশোধ করতে হবে। সেই লক্ষেই আমাদের কাজ করে যেতে হবে।

এসময় আকজ এর প্রধান সমন্বয়কারী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আকজ ব্যতিক্রমধর্মী আয়জনের সাথে সব সময় আছে। বুদ্ধিভিত্তিক সমাজ বিনির মানে আকজ কাজ করে যাবে সবাইকে নিয়ে।

টিএনজে/এএইচ

মরহুুম আব্দুল হাই মিলনের দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা ও দোয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, মুস্তাফিজুর রহমান
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ
   
মরহুুম আব্দুল হাই মিলনের দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা ও দোয়া

দাগনভূঁইয়ার কৃতি সন্তান মরহুম আবদুল মিলনের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৩০শে এপ্রিল রোজ বুধবার সন্ধে সাত ঘটিকায় স্নরণ সভা ফকিরাপুলস্থ হোটেল আল সালামের দ্বিতীয় তলা বিশিষ্ট সংগঠক ও ব্যাংকার মঞ্জুরুল আলম টিপুর সভাপতিত্বে দাগনভূঞা ব্লাড ডোনেশন এর সাধারণ সম্পাদক কামালউদ্দিনের সঞ্চলনা স্মরণ সভা স্মৃতিচারন করেন কলামিষ্ট রিন্টু আনোয়ার, দাগনভূঞা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম, এ, রব,বিকন গ্রুপের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন, সংযোগ- নোফেল প্রধান সমন্বয়কারী নাসির উদ্দিন মাসুক, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা নুরুল আলম, এডভোকেট একরামুল হক, সংগঠক তাজুল ইসলাম লিটন, মানবাধিকার কর্মী মনিরুল ইসলাম মনির, জামাল উদ্দিন মেম্বার , নিজাম উদ্দিন, সাংবাদিক একরামূল হক, কবি কুতুব উদ্দিন প্রমুখ, মরহুম আব্দুল হাই মিলন আমৃত্যু মানুষ ও মানবতার কল্যাণে কাজ করে গেছেন।

তিনি দানবীর ও হাতেম তাই হিসেবে পরিচিত ছিলেন, স্মৃতিচারণ শেষ কুতুব উদ্দিন এর পরিচালনা ধর্মীয় ‘ববাব কমিটির মধ্যে দিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।১ লা মে মরহুম আবদুল হাই মিলনের দশম মৃত্যু বার্ষিকী” ২০১৫ সালের ১মে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। নিজ এলাকায় হাতেমতায়ী হিসেবে পরিচিত এই জনহিতৈষী ব্যক্তি ছাত্রজীবন থেকে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এর সাথে জড়িত । ছাত্রজীবনে নিজ এলাকায় তিনি অসংখ্যা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন।

এছাড়া অসুস্থ্য ব্যক্তি, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মন্দিরসহ সব ধরনের ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে তিনি দু’হাতে দান করে গেছেন।

মানবপ্রেমী এই মহান ব্যক্তি ফেনীর দাগনভূঞার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

 

টিএনজে/এএইচ