খুঁজুন
বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

মিথ্যা মামলা থেকে সরে আসুন, সরকারকে আল্লামা ইমাম হায়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫, ২:২১ অপরাহ্ণ
মিথ্যা মামলা থেকে সরে আসুন, সরকারকে আল্লামা ইমাম হায়াত

সব ধরণের মিথ্যা মামলা থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা ইমাম হায়াত।

মঙ্গলবার (২০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আল্লামা ইমাম হায়াত বলেন, মিথ্যা মামলা, ব্যাপক গ্রেফতার, সরকারের সমালোচনা ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক অধিকারকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা বলে অনুমোদন ইত্যাদি জালিম হিসেবে ইতিহাসে ঘৃনিত করার ষড়যন্ত্র বলে আমরা মনে করি।

তিনি আরও বলেন, সরকারের ভিতরের একটা চরমপন্থী গ্রুপের ক্ষমতার অপব্যবহার ও পুলিশের কিছু অতিচালাক অতিউৎসাহী বেপরোয়া হয়ে এই সরকারকে জনরোষের মধ্যে ফেলেছে এবং সন্মানিত প্রধান উপদেষ্টার ইমেজ মারাত্মক নষ্ট করেছে। পাশাপাশি অন্যায় অবিচার মিথ্যা মামলা ও গরীবের রুটি রুজির উপর জঘন্য অমানবিক আক্রমণাত্মক অবস্থানের কারনে জনগণের মধ্যে ব্যাপক ঘৃনা ও ক্রোধ তৈরি হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকার আসলে কে চালাচ্ছে এবং এসব হটকারি পাশবিক সিদ্ধান্ত কে নিচ্ছে এসব নিয়ে জনগণের মধ্যে ব্যাপক বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। সরকারি প্রশ্রয়ে ধর্মের নামে অধর্ম উগ্রবাদ জংগীবাদি সাম্প্রদায়িক স্বৈররাজনীতির প্রাদুর্ভাব ও মারাত্মক দুর্নীতির কারনে রাষ্ট্রের ভবিষ্যত নিয়েও জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ও হতাশা দেখা দিয়েছে।

মিথ্যা মামলা, অবৈধ গ্রেফতার, অন্যায় রিমান্ড, জেল জুলুম , বাক স্বাধীনতা হরন,আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা ইত্যাদি করে মিথ্যাকেই রাষ্ট্রের ভিত্তি করে ফেলা হয়েছে এবং জুলুম পাশবতা স্বৈরদস্যুতাই সরকারের চরিত্র সাব্যস্ত হয়ে গেছে।

আমরা রাষ্ট্র ও জনগণ আগের দুর্বিসহ শ্বাসরুদ্ধকর আঁধার থেকে আপনাদের আরেক দুর্বিসহ শ্বাসরুদ্ধকর আঁধারে পড়ে কাতরাচ্ছি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি শুরুতে আমাদের এবং গণতন্ত্রকামি সকল মানুষের যে আস্থা ও আশা ছিলো তা নিবে যাচ্ছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

 

টিএনজে/এএইচ

যে ৩ লক্ষণে বুঝবেন আপনার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ১২:৩৯ অপরাহ্ণ
   
যে ৩ লক্ষণে বুঝবেন আপনার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়েছে

বিয়ের মত চির বন্ধনের সম্পর্ক ইদানিং কেমন যেন ঠুনকো হয়ে গিয়েছে। দু-একটি বিষয়ে মতের অমিল হলেই এখন বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছেন অনেক দম্পতি। এখনকার অধিকাংশ দম্পতি নিজের অবস্থান থেকে এক চুলও সরতে চান না। তাই বিয়ের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নির্দ্বিধায় চোখের পলকে ভেঙে দিচ্ছেন অনেকেই। আর যারা বিবাহবিচ্ছেদে যেতে পারছেন না বা যেতে চাচ্ছেন না তাদের মধ্যে অনেককেই পরকীয়ার মত অবৈধ একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান ও খোলামেলা যোগাযোগ—একটি সুস্থ দাম্পত্য জীবনের মূলভিত্তি। তবে বাস্তবতায় অনেক সময় এই সম্পর্কেই দেখা দেয় অবিশ্বাস ও সন্দেহের ছায়া। সাম্প্রতিক সময়ে মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, স্ত্রীর আচরণে হঠাৎ পরিবর্তন দেখা দিলে তা হতে পারে পরকীয়ার একটি সম্ভাব্য ইঙ্গিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ত্রীর আচরণে তিনটি লক্ষণ দেখা দিলে তা নিয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন:

১. আচরণে আকস্মিক পরিবর্তন

যদি স্ত্রী হঠাৎ করে আগের চেয়ে অনেক বেশি গোপনীয় হয়ে ওঠেন, বারবার ফোন লুকান, আপনার সামনে অস্বাভাবিক আচরণ করেন কিংবা কথা বলার ধরনে পরিবর্তন আসে—তবে তা হতে পারে মানসিকভাবে অন্য কারো প্রতি জড়িত থাকার ইঙ্গিত।

২. সময় না দেওয়া ও অতিরিক্ত ব্যস্ততা

ঘন ঘন অফিসের অতিরিক্ত কাজ, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর অজুহাত বা ঘরে থেকেও মানসিকভাবে অনুপস্থিত থাকা—এসব হতে পারে কারো প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহের লক্ষণ।

৩. সাজসজ্জায় হঠাৎ পরিবর্তন

আচরণগত পরিবর্তনের পাশাপাশি যদি হঠাৎ স্ত্রীর পোশাক-পরিচ্ছদ, সাজগোজ ও ব্যক্তিত্ব প্রকাশে আগের তুলনায় বেশি সচেতনতা দেখা যায়, তবে তা নতুন কারো প্রতি আকর্ষণের ইঙ্গিত হতে পারে।

এই লক্ষণগুলো দেখে কোনো একপেশে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। সম্পর্ক রক্ষা করতে হলে চাই খোলামেলা ও আন্তরিক আলাপ। প্রয়োজনে দাম্পত্য পরামর্শ গ্রহণ করা যেতে পারে। পরকীয়া সম্পর্ক কোনো হঠাৎ ঘটনা নয়। এটি ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে—অনুভূতির সংকট, নির্ভরতার ঘাটতি ও মানসিক দূরত্ব থেকেই। তাই সম্পর্কের যত্ন নেওয়া, একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করাই পারে যেকোনো জটিলতা থেকে পরিত্রাণের পথ তৈরি করতে।

টিএনজে/এএইচ

জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে কোনো গণহত্যা হয়নি: চিফ প্রসিকিউটর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ
   
জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে কোনো গণহত্যা হয়নি: চিফ প্রসিকিউটর

গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে গত বছরের জুলাই-আগস্টে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গুলি করে হত্যাসহ সহিংসতায় সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রসিকিউশনের কাছে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত সংস্থা। তবে এসব ঘটনায় যেসব অপরাধ হয়েছে, সেগুলো গণহত্যার সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তিনি ‘মাস্টারমাইন্ড, হুকুমদাতা ও সুপিরিয়র কমান্ডার’ হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনো মামলায় তদন্ত শেষ হলো।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এই মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে।

তাজুল ইসলাম জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে আসা তথ্য ও অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে তা দাখিল করা হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এর পরে শুরু হবে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম।

সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর।

জুলাই-অগাস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গণহত্যার কোনো অভিযোগ আনা হয়নি বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘গণহত্যার কোনো চার্জ বা অভিযোগ নেই। আন্তর্জাতিকভাবে যে সংজ্ঞা রয়েছে, সেই সংজ্ঞা অনুযায়ী বাংলাদেশে যেসব অপরাধ হয়েছে, সেগুলো ক্রাইমস এগেইনস্ট হিউম্যানিটি বা মানবতাবিরোধী অপরাধ! গণহত্যা নয়। বাংলাদেশে যে ধরনের অপরাধ হয়েছে, সেটি ম্যাস কিলিং বা ম্যাসাকার হয়েছে; জেনোসাইড নয়।

দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করা হবে কি না—এমন প্রশ্নে তাজুল জানান, ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘গত রাতেই মাত্র সংশোধনী এ আইনে এসেছে। এখন প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী তদন্ত সংস্থা মনে করলে দলটি মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে কি না, সে বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আইন অনুযায়ী তদন্তের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

২০১০ সালের ২৫ মার্চ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতেই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল।

পরবর্তীতে ২০২৪ সালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর আইনে সংশোধনী আনা হয়। এখন এই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ তাঁর মন্ত্রিপরিষদ, সেই সময়কার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিচার করা হচ্ছে।

জুলাইয়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ‘উসকানিদাতা’ হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক নম্বর অভিযোগ আনা হয়েছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) এই মানবতাবিরোধী অপরাধের উসকানি ও প্ররোচনা দিয়েছিলেন। ১৪ জুলাই শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা, রাজাকারের নাতি-পুতি, রাজাকার—এসব বলেছিলেন।’

এভাবে রাজাকার বলার মাধ্যমে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন বাহিনীকে তাঁদের বিরুদ্ধে ‘লেলিয়ে দেওয়া’ হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তাজুল আরও বলেন, ‘পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ—এসব সংগঠন সহযোগী বাহিনী, অর্থাৎ অক্সিলারি ফোর্স হিসেবে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোর পাশাপাশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, তাদের হত্যা করে, আহত করে এবং অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ করে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্ররোচনা, উসকানি দেওয়া, ষড়যন্ত্র ও সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

টিএনজে/এএইচ

নাইট ক্লাবে নাচার সময় বাংলাদেশির মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, টিএনজে প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ১১:১০ অপরাহ্ণ
   
নাইট ক্লাবে নাচার সময় বাংলাদেশির মৃত্যু

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের একটি সড়ক থেকে ২৯ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির পুলিশ শুক্রবার (৯ মে) জানিয়েছে, গত সপ্তাহে মরদেহটি পাওয়া যায়।

দেশটির মাপো পুলিশ স্টেশন থেকে জানানো হয়েছে, এই বাংলাদেশি প্রবাসী সিউলের হংডের একটি ক্লাবে নাচার সময় হঠাৎ পড়ে যান। পরে রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে একটি সড়কে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।

পুলিশ আরও জানায়, এক ব্যক্তি ক্লাবে নাচার সময় অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছেন বলে খবর পায় পুলিশ। এরপর পুলিশ ও উদ্ধারকারীরা গিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে এর আগেই তার হার্টঅ্যাটাক হয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, তার দেহে মাদক অথবা অ্যালকোহলের কোনো উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এছাড়া তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন কোনো আলামতও মেলেনি।

মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে জাতীয় ফরেনসিক সার্ভিস তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপর তার মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে সিউলে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস।

এই বাংলাদেশি যুবক দুই বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান। তিনি একটি কারখানায় কাজ করতেন। তিনি কাজের ভিসা নিয়ে দেশটিতে গিয়েছিলেন।

 

টিএনজে/এএইচ