সাইবার জগতে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে সাগর আহমেদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময়: সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫ । ৭:৩২ অপরাহ্ণ

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বর্তমানে মানুষের জীবনে গতি আনলেও এর বিরম্বনাও কম নয়। এই মাধ্যমে দিনদিন বেড়েছে অপরাধপ্রবণতাও। অপরাধীদের বিভিন্ন চক্র গড়ে উঠেছে। যারা প্রযুক্তির বিষয়ে খুব বেশি দক্ষ নন, নানা কৌশলে তাদের ফাঁদে ফেলে প্রতারকরা।

আর সাইবার জগতে এসব প্রতারণার শিকার হওয়া মানুষকে সহযোগিতা করতে কাজ করছেন দেশের একাধিক সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট। তাদের মধ্যে একজন সাগর আহমেদ।

 

সাইবার জগতে সাগরের আবির্ভাব কোনো হঠাৎ বিস্ফোরণ নয়—বরং এটা ছিল এক সুদূরপ্রসারী প্রস্তুতির ফল। প্রযুক্তিকে তিনি শুধু ব্যবহার করেন না, তিনি তাকে অনুভব করেন, বিশ্লেষণ করেন, আর তার গোপন সংকেতগুলো শোনেন ঠিক যেন কোন এক অদৃশ্য সমুদ্রের তরঙ্গধ্বনি। তাঁর হাত ধরে শত শত তরুণ আজ সাইবার নিরাপত্তা শিখছে, নিজেদের ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক তথ্যকে করছে আগলানো, এক নিখুঁত ডিজিটাল দূর্গে।

সাগর হাসান শুধু হ্যাকার নন—তিনি একজন নীতিনিষ্ঠ ‘ইথিক্যাল হ্যাকার’। তিনি জানেন কীভাবে দুর্বলতা শনাক্ত করতে হয়, জানেন কোন ফাঁক গলে তথ্য চুরি হতে পারে। তবে তার সাফল্যের মূলেই আছে এক সততা—এক নিষ্ঠা, যা তাকে আলাদা করে তোলে হাজারো প্রযুক্তিবিদের ভিড় থেকে।

বাংলাদেশের সাইবার পরিসরে তাঁর অবদান বিস্তৃত। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম অডিট থেকে শুরু করে সাইবার অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন—সাগরের পদচিহ্ন পাওয়া যায় সর্বত্র। তাঁর বলা প্রতিটি সতর্কবার্তা যেন ভবিষ্যতের এক সাবধানবাণী, যা সময়ের আগেই বিপদকে নির্দেশ করে।

যেখানে অনেকে প্রযুক্তিকে শুধু ব্যবসা হিসেবে দেখে, সাগর সেখানে তাকে দেখেন এক মহাসমর হিসেবে—যেখানে রক্ষার চেয়ে আক্রমণ নয়, বরং প্রতিরক্ষা সবচেয়ে বড় সাহস। তিনি প্রমাণ করেছেন, বাংলাদেশেও গড়ে উঠতে পারে বিশ্বমানের সাইবার মস্তিষ্ক, যদি থাকে অদম্য ধৈর্য, অন্তর্দৃষ্টি আর দেশপ্রেম।

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বারবার বলেন, “স্ক্রিপ্ট কিডি হওয়া সহজ, কিন্তু একজন প্রকৃত সাইবার যোদ্ধা হতে হলে দরকার নৈতিকতা, শৃঙ্খলা আর বিশ্লেষণী মন।” তাঁর চোখে প্রযুক্তি শুধু ক্ষমতার হাতিয়ার নয়—এটা মানবতার রক্ষাকবচ।

কপিরাইট © সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত

প্রিন্ট করুন