খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৩০ বৈশাখ, ১৪৩২

জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে কোনো গণহত্যা হয়নি: চিফ প্রসিকিউটর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ
জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে কোনো গণহত্যা হয়নি: চিফ প্রসিকিউটর

গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে গত বছরের জুলাই-আগস্টে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গুলি করে হত্যাসহ সহিংসতায় সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রসিকিউশনের কাছে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত সংস্থা। তবে এসব ঘটনায় যেসব অপরাধ হয়েছে, সেগুলো গণহত্যার সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তিনি ‘মাস্টারমাইন্ড, হুকুমদাতা ও সুপিরিয়র কমান্ডার’ হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনো মামলায় তদন্ত শেষ হলো।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এই মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে।

তাজুল ইসলাম জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে আসা তথ্য ও অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে তা দাখিল করা হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এর পরে শুরু হবে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম।

সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর।

জুলাই-অগাস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গণহত্যার কোনো অভিযোগ আনা হয়নি বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘গণহত্যার কোনো চার্জ বা অভিযোগ নেই। আন্তর্জাতিকভাবে যে সংজ্ঞা রয়েছে, সেই সংজ্ঞা অনুযায়ী বাংলাদেশে যেসব অপরাধ হয়েছে, সেগুলো ক্রাইমস এগেইনস্ট হিউম্যানিটি বা মানবতাবিরোধী অপরাধ! গণহত্যা নয়। বাংলাদেশে যে ধরনের অপরাধ হয়েছে, সেটি ম্যাস কিলিং বা ম্যাসাকার হয়েছে; জেনোসাইড নয়।

দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করা হবে কি না—এমন প্রশ্নে তাজুল জানান, ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘গত রাতেই মাত্র সংশোধনী এ আইনে এসেছে। এখন প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী তদন্ত সংস্থা মনে করলে দলটি মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে কি না, সে বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আইন অনুযায়ী তদন্তের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

২০১০ সালের ২৫ মার্চ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতেই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল।

পরবর্তীতে ২০২৪ সালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর আইনে সংশোধনী আনা হয়। এখন এই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ তাঁর মন্ত্রিপরিষদ, সেই সময়কার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিচার করা হচ্ছে।

জুলাইয়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ‘উসকানিদাতা’ হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক নম্বর অভিযোগ আনা হয়েছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) এই মানবতাবিরোধী অপরাধের উসকানি ও প্ররোচনা দিয়েছিলেন। ১৪ জুলাই শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা, রাজাকারের নাতি-পুতি, রাজাকার—এসব বলেছিলেন।’

এভাবে রাজাকার বলার মাধ্যমে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন বাহিনীকে তাঁদের বিরুদ্ধে ‘লেলিয়ে দেওয়া’ হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তাজুল আরও বলেন, ‘পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ—এসব সংগঠন সহযোগী বাহিনী, অর্থাৎ অক্সিলারি ফোর্স হিসেবে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোর পাশাপাশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, তাদের হত্যা করে, আহত করে এবং অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ করে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্ররোচনা, উসকানি দেওয়া, ষড়যন্ত্র ও সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

টিএনজে/এএইচ

নাইট ক্লাবে নাচার সময় বাংলাদেশির মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, টিএনজে প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ১১:১০ অপরাহ্ণ
   
নাইট ক্লাবে নাচার সময় বাংলাদেশির মৃত্যু

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের একটি সড়ক থেকে ২৯ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির পুলিশ শুক্রবার (৯ মে) জানিয়েছে, গত সপ্তাহে মরদেহটি পাওয়া যায়।

দেশটির মাপো পুলিশ স্টেশন থেকে জানানো হয়েছে, এই বাংলাদেশি প্রবাসী সিউলের হংডের একটি ক্লাবে নাচার সময় হঠাৎ পড়ে যান। পরে রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে একটি সড়কে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।

পুলিশ আরও জানায়, এক ব্যক্তি ক্লাবে নাচার সময় অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছেন বলে খবর পায় পুলিশ। এরপর পুলিশ ও উদ্ধারকারীরা গিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে এর আগেই তার হার্টঅ্যাটাক হয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, তার দেহে মাদক অথবা অ্যালকোহলের কোনো উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এছাড়া তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন কোনো আলামতও মেলেনি।

মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে জাতীয় ফরেনসিক সার্ভিস তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপর তার মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে সিউলে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস।

এই বাংলাদেশি যুবক দুই বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান। তিনি একটি কারখানায় কাজ করতেন। তিনি কাজের ভিসা নিয়ে দেশটিতে গিয়েছিলেন।

 

টিএনজে/এএইচ

ঈদের এক মাস আগেই মসলার দামে আগুন

টিএনজে প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ৮:৫৩ অপরাহ্ণ
   
ঈদের এক মাস আগেই মসলার দামে আগুন

ঈদুল আজহার বাকি এখনো এক মাস। এরই মধ্যে উত্তপ্ত মসলাজাতীয় পণ্যের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। রসুন কিনতেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি দাম। ২০০ টাকা কেজির আদা ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হলুদ কিনতে খরচ হচ্ছে সর্বোচ্চ ৪২০ টাকা। এলাচের কেজি ঠেকেছে ৫৩০০ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ৫০০০ টাকা। পাশাপাশি বাড়ছে চালের দামও। ব্রয়লার মুরগির দামেও অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে মানভেদে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা। আর পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে বিক্রি হয় সর্বোচ্চ ৭০ টাকা, যা সাতদিন আগেও ৫০-৬০ টাকা ছিল। দেশি রসুন প্রতি কেজি সর্বনিু ১১০ টাকায় বিক্রি হলেও এ পণ্য এক মাস আগে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮৫ থেকে ২৪০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা, যা এক মাস আগেও খুচরা বাজারে ৩০০ টাকা ছিল। আমদানি করা শুকনা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৪৩০ টাকা। প্রতি কেজি হলুদ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৪২০ টাকা।

পাশাপাশি প্রতি কেজি আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, যা মাসের ব্যবধানে ২০ টাকা বেশি। দেশি আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৫০ টাকা। প্রতি কেজি জিরা কিনতে ক্রেতার গুনতে হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা। ৫৫০ টাকা কেজি দরের দারুচিনি মাসের ব্যবধানে বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়।

প্রতি কেজি লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা, যা এক মাস আগে ১৩৫০-১৫৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি ছোট দানার এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৪৬০০ থেকে ৫৩০০ টাকা, যা এক মাস আগে ৪৫০০ থেকে ৫১০০ টাকা ছিল।

রাজধানীর কাওরান বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, কুরবানির ঈদের বাকি এখনো এক মাস। এরই মধ্যে বিক্রেতারা সব ধরনের মসলা পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। কিন্তু বাজারে এ পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। প্রতি ঈদের আগে এটা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। দাম বাড়িয়ে ভোক্তার পকেট কাটে বিক্রেতারা। ভোক্তার হয়রানি দূর করতে বাজারে কার্যকর অভিযানের দাবি জানান তিনি।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন যুগান্তরকে বলেন, এ চিত্র প্রতি বছরের। কুরবানির ঈদ এলেই অসাধু বিক্রেতারা মসলা পণ্যের দাম বাড়ায়। এবারও তাই হয়েছে। এজন্য এখন থেকেই কঠোরভাবে তদারকির মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

এদিকে খুচরা বাজারে সরু চালের মধ্যে প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৮৭ থেকে ৮৮ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও ৮৫ টাকা ছিল। প্রতি কেজি পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। প্রতি কেজি মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৫ টাকা, যা এক মাস আগেও ৫০-৫৫ টাকা ছিল। পাশাপাশি খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। প্যাকেটজাত প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। প্রতি কেজি খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। আর প্যাকেটজাত ময়দা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ টাকা।

মালিবাগ কাঁচাবাজারের খালেক রাইস এজেন্সির মালিক ও খুচরা চাল বিক্রেতা মো. দিদার হোসেন বলেন, মিলে দাম বেড়েছে। এখন আমন মৌসুমের চাল শেষের দিকে। বোরো চাল কৃষকের গোলায় উঠছে। তাই এ সময় চালের দাম কিছুটা বেশি থাকে। নতুন চাল পুরোদমে বাজারে এলেই দাম কামে যাবে।

খুচরা বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকা, যা সাতদিন আগেও ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬৬০ টাকা। পাশাপাশি প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা। প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২৫০ টাকায়।

 

টিএনজে/এএইচ

 

দেশের বাজারে কমেছে সোনার দাম

টিএনজে প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ৮:২৮ অপরাহ্ণ
   
দেশের বাজারে কমেছে সোনার দাম

বাংলাদেশের স্বর্ণবাজারে একদিনের ব্যবধানে বড় পরিবর্তন এসেছে। ২২ ক্যারেট সোনার ভরিতে ৩ হাজার টাকারও বেশি কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।বাংলাদেশের স্বর্ণবাজারে একদিনের ব্যবধানে বড় পরিবর্তন এসেছে। ২২ ক্যারেট সোনার ভরিতে ৩ হাজার টাকারও বেশি কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, ভরিতে ৩ হাজার ১৩৭ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৮১১ টাকা। নতুন এই মূল্য শুক্রবার (৯ মে) থেকে কার্যকর হবে।

বাজুসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, অন্যান্য ক্যারেটের সোনার দামও কমেছে। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার নতুন দাম ১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৭৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৬৭ টাকা। সংগঠনটি জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য হ্রাস পাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৬ মে সর্বশেষ সোনার দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। তখন ভরিতে ৩ হাজার ৬৬২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯৪৮ টাকা করা হয়েছিল।

বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দামের মন্দাভাব এবং ডলারের বিনিময় হারে সাম্প্রতিক স্থিতিশীলতা—দেশীয় বাজারে স্বর্ণের দাম হ্রাসের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

 

টিএনজে/এএইচ